ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম দিনশেষে বিপাকে টাইগাররা। সিলেটে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ১৯১ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না জারিয়ে ১৪.১ ওভারে ৬৭ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন: দুই ওপেনারকে হারিয়ে লড়াই শান্ত-মুমিনুলের
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে নতুন শুরুর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অধিনায়ক শান্ত। তবে সিলেটের মাটিতে নতুনত্বের কোনো ছোঁয়াই ছিলো না টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। উল্টো সেই পুরনো উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার ধারাটাই বজায় রাখলো টাইগাররা। ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়েও বাজে শটে খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরার পুরনো অভ্যাস থেকে বের হতে পারেনি শান্ত বাহিনী।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টেস্টে টস ভাগ্য জিতে নেন অধিনায়ক শান্ত। কাল বিলম্ব না করেই সিদ্ধান্ত নেন আগে ব্যাটিং করার। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো ওপেনারদের দৈনতা। দিন বদলায়, দল বদলায় তবে ওপেনিং জুটিতে রান তোলাটা আর হয় না বাংলাদেশের। এবার জয় ও সাদমান মিলে তুললেন ৩১ রান। প্রথম উইকেটে সাদমানের বিদায়ের পর জয়ও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকেননি। দলীয় ৩২ রানে তিনিও চলে গেছেন প্যাভিলিয়নে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এরপর অধিনায়ক শান্তকে সাথে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন মুমিনুল। দুজনে মিলে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে পার করে দেন প্রথম সেশন। তবে লাঞ্চের পরই লাগাম হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ। যখনই মনে হচ্ছিলো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে টাইগাররা তখনই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন অধিনায়ক শান্ত।

মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজরাও দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই ফিরে আসেন প্যাভিলিয়নে। মুমিনুলকে নিয়ে তখন আশায় বুক বাঁধতে থাকে টাইগার সমর্থকেরা। সেই মুমিনুলও দ্রুত রান তুলতে গিয়ে অহেতুক শটে উইকেট দিয়ে আসেন। দেড়শো রানের আগেই সাত উইকেট হারিয়ে তখন লজ্জায় মুখ লুকানোর অবস্থা বাংলাদেশের। তবে সেখান থেকে হাসান মাহমুদকে সাথে নিয়ে ৪১ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন জাকের।

তবে দিনের শেষ বেলায় গিয়ে ঠিকই উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। নিজেদের ইনিংস শেষ করে ১৯১ রানেই। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। টাইগার বোলারদের সামনে অবশ্য সুযোগ ছিলো গোধূলি বেলায় উইকেট তুলে দিনের শেষে ইতিবাচকতা আনার। তবে সেখানেও ব্যর্থ শান্তর দল। ১৪.১ ওভার বল করলেও কোনো উইকেট তুলতে পারেনি নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদরা। ৬৭ রানের দিনের খেলার শেষ করে সফরকারীরা।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১ (মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, জাকের ২৮, হাসান ১৯, জয় ১৪; মাসাকাদজা ৩/২১, মুজারাবানি ৩/৫০, মাধেভেরে ২/২)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬৭/০ (বেন্নেট ৪০*, বেন কারান ১৭*)