দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষে আবারও সাদা পোশাকে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। সিলেটে প্রথমে ব্যাটিং করে লাঞ্চের আগে দুই উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
২০২১ সালে হারারেতে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ের পর টেস্টে আর দেখা হয়নি। এবার সেই বিরতি ভেঙেছে সিলেটে, যেখানে প্রথমবারের মতো এই দুই দলের মধ্যে টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনের শুরুতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুটা দেখেশুনেও করে দুই ওপেনার সাদমান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে উদ্বোধনী জুটি বেশি লম্বা করতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান কথা বলছে টাইগারদের পক্ষে

দলীয় ৩১ রানে ভিক্টর নিয়াউচির বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জয়। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রানের ইনিংস। এরপর বেশিক্ষণ টিকেননি আরেক ওপেনার সাদমানও। সেই নিয়াউচির বলেই বেনেটকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ১২ রান করা সাদমান।
দিনের শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ও অধিনায়ক শান্ত। দুজনেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত প্রথম সেশনে ২৪ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮৪ রান সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে এই দুই ব্যাটার। লাঞ্চের আগে দুই ওপেনারকে হারানো বাংলাদেশ আপাতত শান্ত-মুমিনুলের উপর ভর করে নতুন ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ২১ করে মুমিনুল ও ৩০ রানে অপরাজিত আছেন শান্ত।
আরও পড়ুন: একই জার্সিতে মেসি-রোনালদো, অসম্ভবকে সম্ভব করতে চান তেভেজ

অন্যদিকে, নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে নতুন চেহারার বাংলাদেশ দল, টেস্টের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় দাপট নিয়েই। অন্যদিকে, রোডেশিয়ানরা খুঁজছে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ।
পরিসংখ্যানের পাল্লাও অবশ্য বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকে আছে। সিলেট টেস্টের আগে, পরষ্পরের বিপক্ষে মোট ১৮টি টেস্ট খেলেছে দুই দল— যেখানে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৮টিতে, জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৭টি, আর ৩টি নিষ্পত্তিহীন। সর্বশেষ লড়াইয়ে হারারেতে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছিল টাইগাররা, ২২০ রানের বড় জয়ে। তবে জিম্বাবুয়ের সর্বশেষ টেস্ট জয় এসেছিল ২০১৮ সালে, ঘরের মাঠে।