পাকিস্তান সুপার লীগের ষষ্ঠ ম্যাচে করাচীতে মুখোমুখি হয়েছিল রিশাদ হোসেনের লাহোর কালান্দার্স ও করাচি কিংস। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লাহোর কাপ্তান শাহীন আফ্রিদি। আগের ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর এদিন রিশাদ একাদশে থাকবেন, এটি অনুমেয় ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই লাহোর কালান্দার্সের একাদশে এদিন ছিলেন বাংলাদেশের লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: রিশাদের স্মরণীয় অভিষেকে লাহোরের বড় জয়
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে নাইম ও আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার ফাখার জামান এদিনও দুর্দান্তভাবে খেলে যান। তৃতীয় উইকেটে মিচেলকে নিয়ে ১২৫ রানের জুটি গড়েন ফাখার। ফাখার জামান এদিন ৪৭ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে মিচেল খেলেন ৪১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন: ১১১ রানের লক্ষ্যে কুপোকাত কলকাতা, ইতিহাস গড়লো।পাঞ্জাব
দুইজনের পর স্যাম বিলিংস একটা ছোট ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। শেষদিকে ৭ নম্বর ব্যাটার হিসেবে নামেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। রিশাদ এদিন শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩ বলে ২ রান করেন। সিকান্দার রাজার শেষ ওভারে ক্যামিও সুবাদে লাহোরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০১ এ। করাচির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার হাসান আলী।
২০২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে করাচী কিংস শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদির পেইসে কুপোকাত হয় করাচীর টপ অর্ডার। প্রথম ওভারেই কাপ্তান ডেভিড ওয়ার্নার ও আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ম্যাচসেরা হওয়া জেমস ভিন্স — দুইজনকেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান শাহীন শাহ। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি করাচি।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে রিশাদ হোসেন বল করতে আসলে আরো দিশেহারা হয়ে পড়ে করাচি। রিশাদ এসে প্রথম বলেই বাজিমাত, আউট করে দেন শান মাসুদকে, শুধু শানকেই নয়— ওই ওভারে আউট করেন নিয়াজীকেও। অর্থাৎ প্রথম ওভারেই মাত্র ১ রান খরচায় রিশাদ নেন ২টি মূল্যবান উইকেট। নিকের করা পরের ওভারেও উইকেটের দেখা পান লাহোরের হয়ে খেলা এই বাংলাদেশী লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন, আব্বাস আফ্রিদিকে আউট করে দুই ওভারের মাথাতেই ৩ উইকেট নিয়ে ফেলেন রিশাদ৷
শেষ পর্যন্ত রিশাদ ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ও ৩ উইকেট নিয়ে তার ইনিংস শেষ করেন। শেষ পর্যন্ত করাচির হাসান ও খুশদিল মিলে জুটি গড়লে সেটা কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়। ৩ ম্যাচে প্রথমটি হারলেও পরের দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট তালিকায় বেশ শক্ত অবস্থানে আছে রিশাদ হোসেনের দল লাহোর কালান্দার্স।
স্কোরকার্ড:
লাহোর কালান্দার্স: ২০১/৬ (২০ ওভার)
(ফাখার ৭৬, মিচেল ৭৫, হাসান ৪/২৮)
করাচি কিংস: ১৩৬/১০ (১৯.১ ওভার)
(খুশদিল ৩৯, হাসান ২৭, রিশাদ ৩/২৬, শাহীন ৩/৩৪)
ফলাফল: লাহোর কালান্দার্স ৬৫ রানে জয়ী