বাংলাদেশের ফুটবলে চলছে নতুন এক গণজোয়ার। একদিকে যেমন ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলা হামজা চৌধুরীর জাতীয় দলে আগমন, অন্যদিকে কানাডার লিগে খেলা সমিত সোমের অন্তর্ভুক্তি। একের পর এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। কেউ ভাসছেন আশার জোয়ারে, কেউবা করছেন সমালোচনা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দেশের সাবেক অধিনায়ক ও এক সময়ের তারকা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি।
জনপ্রিয় স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম অনফিল্ড– এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জাহিদ হাসান এমিলি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন, হামজা-সমিতদের তিনি ‘প্রবাসী’ বলে মনে করেন না। এমিলি বলেন, “দেখেন, আমি এদের প্রবাসী বলবো না। ওরা তো আমাদের দেশেরই সন্তান। আমাদের দেশের পাসপোর্ট নিয়েই খেলছে। জাতীয় সংগীত যখন বাজে, তখন ওরাও আমাদের সাথেই গায়। হয়তো পেশাগত কারণে বা বাবা-মায়ের সঙ্গে বিদেশে থাকে, তাতে কী আসে যায়?”
আরও পড়ুন: রিশাদের স্মরণীয় অভিষেকে লাহোরের বড় জয়
হামজাদের আগমন ফুটবলে ফিরিয়েছে হারানো ক্রেজ জাতীয় দলে হামজা ও সমিতের অন্তর্ভুক্তিকে তিনি দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে। তার ভাষায়, “দেখেন, হামজার আগেও জামাল-তারেক কাজিরা তো খেলেছে। জামাল তো বহু বছর ধরে আমার সাথেও খেলেছে। আমি এসব ফুটবলারদের আগমন খুবই ইতিবাচক মনে করি। ওরা যখন জাতীয় দলে নামে, তখন একটা হাইপ তৈরি হয়— যেটা হামজার ক্ষেত্রেও হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই তো তার প্রভাব আমরা দেখেছি।”
হামজা ও সমিতের মিডফিল্ডে সংযুক্তি যে বাংলাদেশের এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে, তাও মনে করেন এই সাবেক অধিনায়ক। বলেন, “আমরা একটা অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছি, আর গ্রুপের সব দলের পয়েন্ট ১ করে। আমি মনে করি, ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরকে হারানো সম্ভব। তাহলে গ্রুপে শীর্ষে থেকে মূল পর্বে কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা খুবই বাস্তব।”
আরও পড়ুন: অবশেষে দিল্লির পরাজয়, ভিরাটের রেকর্ডে জিতেছে বেঙ্গালুরু
এমিলি মনে করেন, সমিত-হামজাদের আগমনে অন্য ফুটবলাররাও নিজেদের পারফরম্যান্স বাড়াতে বাধ্য হবেন। “বাংলাদেশে অনেকেই ভাবে তাদের বিকল্প নেই। তাই উন্নতি করেও না। কিন্তু এখন জায়গা হারানোর ভয়েই তারা ভালো খেলবে।”
সমিত-হামজার পজিশন নিয়ে মত দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক হামজা ও সমিতের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়েও স্পষ্ট মত দিয়েছেন এমিলি। “হামজাকে ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডেই রাখা উচিত— যেখানে ও ক্লাবেও খেলে। আর সমিতকে রাখা উচিত অ্যাটাকিং পজিশনে, যাতে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারে।”