জীবনে কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেননি। অথচ সরাসরি সুযোগ পেলেন জাতীয় দলে। শুধু তাই নয়, বয়সের বাধাকে তুচ্ছজ্ঞান করে ৬৪ বছরে অভিষেক হয় তার৷ কাল্পনিক নয়, বাস্তবেই এমন ঘটনার সাক্ষী পর্তুগাল নারী ক্রিকেট দল৷
বয়সের বাধাকে একপাশে রেখে ৬৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়ে বিশ্বকে সাড়া ফেলে দিয়েছেন পর্তুগালের জোয়ানা চাইল্ড। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পদার্পণ করার নজির স্থাপন করেন। এই তালিকা শীর্ষে রয়েছেন জিব্রাল্টারের স্যালি বারটন, যিনি ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন।

গত ৭ এপ্রিল নরওয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমে এই কীর্তি গড়েন পর্তুগালের চাইল্ড। ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি চাইল্ড। মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। যদিও তার দল পর্তুগাল ১০৯ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও নরওয়েকে পরাজিত করে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চাইল্ড ব্যাট করার সুযোগ পাননি, তবে বল হাতে চার বলে ১১ রান দেন। ঐ ম্যাচে অবশ্য নরওয়ে পর্তুগালকে হারিয়ে দেয়। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তাকে ব্যাট বা বল কোনোটিই করতে হয়নি এবং ঐ ম্যাচে নরওয়েকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় পর্তুগাল।
আরও পড়ুন: নাসিরকে ফের জাতীয় দলে দেখতে চান সোহরাওয়ার্দী শুভ
নরওয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার আগে চাইল্ড কখনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেননি। সরাসরি জাতীয় দলেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। পর্তুগালের এই দলে একদিকে যেমন ৬৪ বছর বয়সী চাইল্ড রয়েছে, তেমন রয়েছে তিন কিশোরীও। ১৫ বছর বয়সী ইশরাত চিমা, ১৬ বছর বয়সী মারিয়াম ওয়াসিম এবং ১৬ বছর বয়সী আফশিন আহমেদও এই সিরিজে পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন।