ভারতীয় কিংবদন্তি উইকেটকিপার ব্যাটার মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ২০২০ সালে। বর্তমান ৪৩ বছর বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হিসেবে খেলে যাচ্ছেন শুধু আইপিএল। নিজের দ্রুতগতির স্টাম্পিংয়ে বরাবরই নজর কেড়েছেন ক্রিকেট ভক্তদের। তবে আলোর গতির ন্যায় স্টাম্পিংয়ে যেভাবে হরহামেশাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন সেভাবে ব্যাট হাসছে না তার। ফলে অবসর নিয়ে বেশ গুঞ্জন চলছে। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের এই তারকার মতে, অবসর নিয়ে এখনো চিন্তা নেই তার, নির্ভর করছে শরীরের উপর।
এবারের চলমান আইপিএলে ব্যাট হাতে খুব একটা ঝলক দেখাতে পারছেন না ধোনি। ৪৩ বছর বয়সে ভক্তদের আশানুরূপ ক্রিকেটটা খেলতে পারছেন না তিনি। ফলে তাকে নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় বেশ সমালোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: সিরাজের বোলিং তোপে ঘরের মাঠে হায়দ্রাবাদের পরাজয়
সমালোচনার মাত্রা বেড়েছে গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাঁর কচ্ছপগতির ব্যাটিংয়ের কারণে। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যখন ৫৬ বলে ১১০ রান প্রয়োজন তখন ক্রিজে নামেন ধোনি। হাতে ৫ উইকেট রেখে ধোনির ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন। ৩০ রান করেছেন ১ চার ও ১ ছক্কার বিনিময়ে ২৬ বল থেকে। বিজয় শঙ্করের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে তার ৮৪ রানের জুটি কেবল চেন্নাইয়ের হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারার এই ম্যাচে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন ধোনির বাবা-মা ও স্ত্রী কন্যা। ওই ম্যাচে তার স্ত্রী এবং মেয়েকে ‘শেষ ম্যাচ’ বলতে দেখেছেন দর্শকরা যা ভারতীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমে লিখা হচ্ছে।
তবে এইসব গুঞ্জনের ধোয়াশা পরিষ্কার করেছেন ধোনি। রাজ শামানির এক পডকাস্টে ধোনি বলেন, “এখনই অবসর নিয়ে ভাবছি না, আমি এখনও আইপিএল খেলছি এবং একটি করে বছর ধরে। আমার বয়স ৪৩, চলতি আইপিএল শেষে জুলাইয়ে আমার বয়স হবে ৪৪। তাই আরও এক বছর খেলতে চাই কিনা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমার হাতে ১০ মাস সময় আছে। আর আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত আমার নয়; খেলতে পারব কি পারব না এটা আমার শরীরের ওপর নির্ভর করছে।”
আরও পড়ুন: রুপগঞ্জের হয়ে আবারও মাঠে ফিরলেন নাসির
ধোনির বক্তব্যে তিনি বেশ সাবলীলভাবেই ব্যক্ত করেছেন, যতদিন ফিট থাকবেন, শরীর অনুকূলে থাকবে ততদিন খেলে যাবেন। তার ভাষায়, “আমি এখন আইপিএলটা উপভোগ করছি। স্কুলজীবনে যেভাবে রোজ বিকেলে খেলতে যেতাম, এখনো ঠিক তেমনই খেলছি। তখন রোজ ৪টায় কলোনির মাঠে খেলতাম। আবহাওয়া খারাপ থাকলে ফুটবল খেলতাম। আমি সেই সহজ-সরল আনন্দটা পেতে চাই। যদিও বলা সহজ, করা কঠিন।”