ঈদের ছুটি কাটিয়ে আবারও প্রাণ ফিরেছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। মাঠে ফিরেই দাপট দেখিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের জয় রাঙানো নায়ক দুইজন — বল হাতে বিধ্বংসী তাইজুল ইসলাম, ব্যাট হাতে নির্ভরতার প্রতীক মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা দুর্দান্ত করেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট শিকার করে। তার সঙ্গী এবাদত হোসেনও নেন ৩ উইকেট। দুই বোলারের তোপে মাত্র ১৭৪ রানেই থামে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস।
আরও পড়ুন: ৬ ম্যাচ আগেই লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
তবে ব্যতিক্রম ছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন দুর্দান্ত ৮৯ রানের ইনিংস, হাঁকান ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা।
লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, তবে শুরুতে কিছুটা বিপাকে পড়ে মোহামেডান। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয় দৃঢ় হাতে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। পঞ্চম উইকেটে গড়ে তোলেন ৯১ রানের জয়সূচক জুটি। হৃদয় আউট হন ৫৭ রান করে, মিরাজ থাকেন অপরাজিত ৬৭ রানে। বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে এই অলরাউন্ডারের ঝুলিতে।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোহামেডান।
অন্যদিকে চমক দেখিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। নামি তারকা না থাকলেও তরুণদের মিশেলে গড়া দলটি যেন স্বপ্ন দেখাচ্ছে সমর্থকদের।
ধানমন্ডির বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৮ রান তোলে তারা। ধানমন্ডির পক্ষে ফজলে মাহমুদ রাব্বি খেলেন দারুণ ৬৫ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন: ইমনের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে আবাহনীর জয়
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে জাওয়াদ-তামিমের পর মিডল অর্ডারে দায়িত্ব নিয়ে খেলেন গুলশানের অভিজ্ঞ ব্যাটার নাঈম ইসলাম। তার ৬৮ রানের সঙ্গে খালিদের ৪৭ রানের উপর ভর করে ২ উইকেট হাতে রেখেই কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নেয় দলটি। এছাড়া আজিজুল হাকিম তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।
এ জয়ে ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে অবস্থান করছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। অন্যদিকে, ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি ধানমন্ডি। ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে অবস্থান করছে সোহানের দল।
ডিপিএলে শীর্ষে যথারীতি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। দ্বিতীয় স্থানে তারকায় ঠাসা মোহামেডান। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব উঠে এসেছে চারে।