নাটকীয়তায় ভরা এক ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় হাসিল করল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও দলকে রক্ষা করতে পারলেন না। একানায় গড়া ২০৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে শেষ ওভারে হোঁচট খেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হাতে রেখেও দলটি থেমেছে ১৯১ রানে। ফলে ১২ রানে হেরে এবারের আইপিএলে চতুর্থ ম্যাচে তৃতীয় হার দেখল মুম্বাই।
এই ম্যাচে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছুঁয়েছে লক্ষ্ণৌ। একানা স্টেডিয়ামে এটি মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো কোনো দল ২০০’র বেশি রান করেছে।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে রুতুরাজ, চেন্নাইয়ের নেতৃত্বে ফিরতে পারেন ধোনি
বল হাতে ব্যক্তিগত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেছেন পান্ডিয়া—৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে তাঁর এমন পারফরম্যান্সকেও ম্লান করে দিয়েছে লক্ষ্ণৌর ব্যাটিং ঝড়। ইনিংসের সূচনা থেকেই মার্শ (৩২ বলে ৬০) ও মার্করাম (৩৮ বলে ৫৩) একপ্রকার আছড়ে পড়েছেন মুম্বাইয়ের বোলারদের ওপর। পরে বাদানি (১৯ বলে ৩০) ও মিলার (১৪ বলে ২৭) মিলে রানের গতিপথ ধরে রাখেন।
বড় লক্ষ্যের পেছনে ছোটা মুম্বাই শুরুতেই ধাক্কা খায়। মাত্র তিন ওভারে উইল জ্যাকস ও রায়ান রিকেলটনের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তবে ধির ও সুরিয়াকুমারের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৬৯ রান, যা কিছুটা আশা জাগায়। এরপর সুরিয়া ও তিলক বার্মা ৪৮ বলে গড়েন আরও ৬৬ রানের জুটি।
সুরিয়াকুমারের ইনিংস ছিল দলের জন্য বড় আশা। তিনি ৪৩ বলে ৯টি চার ও একটি ছয়ে করেন ৬৭ রান। তবে ১৬.১ ওভারে তাঁর বিদায়ে হাওয়া বেরিয়ে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস থেকে। এরপরও তিলক ও পান্ডিয়া শেষ চেষ্টা চালান। শেষ ওভারে যখন প্রয়োজন ২২ রান, তখন পান্ডিয়া ছিলেন উইকেটে। কিন্তু শেষ ওভারে শার্দুল ঠাকুরের নিখুঁত বোলিংয়ে থেমে যায় মুম্বাইয়ের দৌড়।
তিলক বার্মা করেন ২৩ বলে ২৫ রান, তবে ইনজুরির কারণে ১৯.৫ ওভারে মাঠ ছাড়েন। পান্ডিয়া ১৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন, আর স্যান্টনার ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন। লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে ঠাকুর, আকাশ দীপ, আবেশ খান ও দিগভেষ রাঠি ভাগাভাগি করে নেন একটি করে উইকেট।
আরও পড়ূন: ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ
শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত শুরুর পরও মুম্বাই ইনিংস গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি, আর একানায় আরও একটি মনে রাখার মতো ম্যাচ উপহার দিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।