বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছরে টাইগার ক্রিকেটের জন্য অপেক্ষা করছে ব্যস্ত এক সূচি। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া এই ব্যস্ত সূচির রেশ থাকবে গোটা বছর ধরেই। প্রায় প্রতি মাসেই কোনো না সিরিজে মাঠে নামতে হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। শুধু এই বছর না ২০২৭ এর মার্চ পর্যন্ত মোট ১৬ টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নিবে টাইগাররা। তার সাথে আবার যোগ হবে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও।

আরও পড়ুন: জুন উইন্ডোতে শামিত শোমকে খেলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা বাফুফের

আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্লান বা এফটিপি অনুযায়ী দম ফেলার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই টাইগার ক্রিকেটারদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি পেলেও ঘরের মাঠে সেসময় ব্যস্ত থাকতে হবে বিপিএলের মতো ফ্র‍্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলার জন্য। বলতে গেলে বছর জুড়েই তাই বাইশ গজের লড়াইয়ে মত্ত থাকবেন শান্ত-তাসকিনরা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ

ব্যস্ত এই সূচির শুরু হচ্ছে চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে। পরের মাসে বাংলাদেশ দল রওনা হবে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানে ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিলো বাংলাদেশের। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগামী দুটি বড় আসর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়ায় বিসিবির বেশি মনোযোগ এই টি-টোয়েন্টিতেই। সে কারণ দুই বোর্ডের সমঝোতায় মে মাসে পাকিস্তানে গিয়ে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। জুলাই মাসে পাকিস্তানকে আবার আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সেই সিরিজও হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

আরও পড়ুন: অ্যাকশনের পরিবর্তন ধার কমাচ্ছে রশিদের বোলিংয়ে: সৈয়দ সামি

মাঝে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ এক সিরিজ খেলবে শান্তর দল। লঙ্কানদের দেশে হতে যাওয়া সেই সিরিজে মাঠে গড়াবে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সেই সিরিজের পর বিদেশের মাটিতে টানা একবছর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার পরিকল্পনা আপাতত নেই বাংলাদেশের। যদিও এই একবছরের মধ্যে দুইটি আইসিসি ইভেন্ট খেলতে দেশের বাইরে পা রাখতে হবে টাইগার ক্রিকেটারদের।

এবছরের আগস্ট ও অক্টোবরে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দুই দেশের বিপক্ষেই ৩টি করে ওয়ানডে ও ৩টি করে টেস্ট খেলবে টাইগাররা। নভেম্বরে বাংলাদেশ আতিথেয়তা দিবে আয়ারল্যান্ডকে। এফটিপির সূচি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ এক সিরিজ খেলার কথা রয়েছে শান্ত বাহিনীর। যেখানে থাকবে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

২০২৬ এ বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজটাও পূর্ণাঙ্গ সিরিজ হবার পরিকল্পনা রয়েছে। ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মার্চে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। সেই সিরিজ মাঠে গড়াবে এপ্রিল পর্যন্ত। পাকিস্তানের সাথে খেলার পরপরই দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফিল সিমন্স শিষ্যরা। খেলবে ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। জুনে বাংলাদেশে আসবে বর্তমান ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। কিউইদের মতো তারাও বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে। দুটি সিরিজেই ম্যাচ হবে তিনটি করে।

সেই একই বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ উড়াল দিবে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে। সেখানে সিকান্দার রাজাদের বিপক্ষে ২টি টেস্ট ও ৫টি ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ শেষ করে টাইগারদের পরবর্তী মিশন থাকবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আইরিশদের ঘরের মাঠে গিয়ে আগস্টে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে শান্ত বাহিনী।

আরও পড়ুন: আইপিএল ছেড়ে হঠাৎ দেশে ফিরলেন রাবাদা

এফটিপির পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৭ এর মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিলো বাংলাদেশের। তবে সেটিকে এগিয়ে আনা হয়েছে ২০২৬ এর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। মূলত প্রথম টেস্ট ম্যাচের দেড়শো বছর উদযাপনের জন্যই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এগিয়ে এনেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ

২০২৬ এর অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি সিরিজ খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দুই সিরিজেই শুধু সাদা জার্সিতে মাঠে নামবে সিমন্স বাহিনী। দুই সিরিজেই দুটি করে টেস্ট ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। মাঝে ২০২৬ এর নভেম্বরে বাংলাদেশ পাড়ি দিবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজেরা।

আরও পড়ুন: এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান নাকভি

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর